জিহাদ নিয়ে উক্তি জানার পূর্বে জিহাদ সম্পর্কে সামান্য একটি ধারণা নেওয়া প্রত্যেকেরই কর্তব্য। জিহাদ মানি কি? জিহাদ অর্থ কি বা কাকে বলে? জিহাদ হলো একটি আরবি শব্দ আর এর আভিধানিক শব্দে হলো কোনো কিছুকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে পরিশ্রম,সাধনা,কষ্ট, চেষ্টা করা সহ ইত্যাদি।
তাহলে জিহাদ সম্পর্কে আমরা প্রথমে একটি পরিষ্কার ধারণা নিয়ে নিলাম। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক জিহাদ নিয়ে ইন্টারনেটে থাকা বেশ অনেকগুলো উক্তি। আলোচনা বিলম্ব না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক জিহাদ নিয়ে উক্তি সমূহ।
জিহাদ নিয়ে উক্তি সমূহ
বর্তমান পৃথিবীতে জিহাদ নিয়ে নানা রকম ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে আছে এবং অনেকে এটাকে একটি ঘৃণ্য কাজের সাথে তুলনা করে থাকে। বিশেষ করে অন্য ধর্মাবলম্ভীরা। যেহেতু জিহাদ সম্পর্কে উপরের সংজ্ঞা আমরা জেনেছি, তাহলে ইতিপূর্বে মোটামোটি জিহাদ সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা আমাদের সবার মনে হয়েছে। আর বর্তমানে সবাইকে জিহাদ সম্পর্কে ক্লিয়ার একটি কনসেপ্ট দেওয়াই আমাদের উচিত। যাইহোক, চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক জিহাদ নিয়ে সকল উক্তি সমূহ।
-আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার
করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত
হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায়
জোড়ায়। যেহেতু তারা অবাধ্য
হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য
এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও
রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর
শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
(সূরা আনফালঃ ১২-১৩)
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের
সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ
করবে না।(সূরা আনফালঃ১৫)
-আর যে লোক সেদিন তাদের
থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য
যে লড়াইয়ের কৌশল
পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের
নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত
অন্যরা আল্লাহর গযব
সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার
ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল
নিকৃষ্ট অবস্থান। (সূরা আনফালঃ১৬)
-সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি,
বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন।
(সূরা আনফালঃ১৭)
-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর
তা থেকে বিমুখ হয়ো না।আর তাদের
অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে,
আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা।
(সূরা আনফালঃ২০-২১)
-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের
সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়,
যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন।
বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত
হবে।(সূরা আনফালঃ২৪)
-আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও
সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী।
বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব।
(সূরা আনফালঃ২৮)
-নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের,
তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ,
যাতে করে বাধাদান
করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন
তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই
তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ
হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে।
আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের
দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
(সূরা আনফালঃ৩৬)
-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন
বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন
সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক
পরিমাণে স্মরণ কর
যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য
হতে পার। (সূরা আনফালঃ৪৫)
-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য
যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের
শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে যেন প্রভাব
পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর
এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর
তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও
যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ
তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু
তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে,
তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং
তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।
(সূরা আনফালঃ৬০)
-হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত
করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের
মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে,
তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর
যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক,
তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর
থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন।
(সূরা আনফালঃ৬৫)
আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ
প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ
করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর
প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর।
(সূরা তাওবাঃ১২)
তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ
করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের
শপথ এবং সঙ্কল্প
নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই
প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত
করেছে।তোমরা কি তাদের ভয় কর?অথচ
তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন
আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও।
(সূরা তওবা:১৩)
যুদ্ধ কর ওদের সাথে,আল্লাহ তোমাদের
হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের
লাঞ্ছিত করবেন,তাদের
বিরুদ্ধে তোমাদের
জয়ী করবেন,এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ
শান্ত করবেন। (সূরা তওবা:১৪)
নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ
আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর
প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম
করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত;
আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না।
অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত
প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা তওবা:১৮)
হে ঈমানদারগণ!তোমরা স্বীয় পিতা ও
ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না,
যদি তারা ঈমান
অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর
তোমাদের যারা তাদের
অভিভাবকরূপে গ্রহণ
করে তারা সীমালংঘনকারী।
(সূরা তাওবাঃ২৩)
তারপর আল্লাহ নাযিল করেন নিজের পক্ষ
থেকে সান্ত্বনা, তাঁর রসূল ও মুমিনদের
প্রতি এবং অবতীর্ণ করেন এমন
সেনাবাহিনী যাদের
তোমরা দেখতে পাওনি।আর শাস্তি প্রদান
করেন কাফেরদের এবং এটি হল
কাফেরদের কর্মফল।(সূরা তাওবাঃ২৬)
তোমরা যুদ্ধ কর ঐ লোকদের সাথে,
যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান
রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম
করে দিয়েছেন তা হারাম
করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম।
(সূরা তাওবাঃ২৯)
আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর
সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের
সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে।আর
মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের
সাথে রয়েছেন।(সূরা তাওবাঃ৩৬)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন
আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের
বলা হয়, তখন
মাটি জড়িয়ে ধর,তোমরা কি আখেরাতের
পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট
হয়ে গেলে?অথচ আখেরাতের তুলনায়
দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।
(সূরা তাওবাঃ৩৮)
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের
মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর
জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত
করবেন। তোমরা তাঁর কোন
ক্ষতি করতে পারবে না,আর আল্লাহ
সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা তাওবাঃ৩৯)
তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর
সরঞ্জামের(এখানে সরঞ্জাম
বলতে অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে)
সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর
পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে,
এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম,
যদি তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা তওবাঃ৪১)
তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে,
আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের
সাথে যে মোকাবেলা করে তার
জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ; তাতে সব
সময় থাকবে।এটিই হল মহা-অপমান।
(সূরা তাওবাঃ৬৩)
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন
এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের
সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।তাদের
ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট
ঠিকানা।(সূরা তাওবাঃ৭৩)
আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের
থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে,
তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।তারা যুদ্ধ
করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও
মরে।আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায়
কে অধিক?সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও
সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর
সাথে।আর এ হল মহান সাফল্য।
(সূরা তাওবাঃ১১১)
হে মুমিনগন, ঐ কাফেরদের সাথে যুদ্ধকর
যারা তোমাদের নিকটবর্তী, যেন
তারা তোমাদের
মাঝে কঠোরতা খুঁজে পায়, আর জেনে রাখ
আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
(সূরা তাওবাঃ ১২৩)
হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও
এবং পৃথক পৃথক
সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে
পড়। (সুরা নিসা-৭১)
আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ কেউ
রয়েছে,যারা অবশ্য বিলম্ব
করবে এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ
উপস্থিত হলে বলবে, আল্লাহ আমার
প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের
সাথে যাইনি।(সুরা নিসা-৭২)
পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ
থেকে কোন অনুগ্রহ আসলে তারা এমন
ভাবে বলতে শুরু করবে যেন তোমাদের
মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই
ছিল না।(বলবে) হায়, আমি যদি তাদের
সাথে থাকতাম, তাহলে আমি ও
যে সফলতা লাভ করতাম। (সুরা নিসা-৭৩)
কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব
জীবনকে আখেরাতের
পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ
করাই কর্তব্য।বস্তুতঃ যারা আল্লাহর
রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ
করে কিংবা বিজয় অর্জন করে,
আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব।
(সুরা নিসা-৭৪)
আর তোমাদের কি হল যে,
তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ
না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের
পক্ষে,যারা বলে, হে আমাদের
পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ
থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার
অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী!আর তোমার
পক্ষ থেকে আমাদের জন্য
পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও
এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য
সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।
(সুরা নিসা-৭৫)
যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ
করে আল্লাহর রাহেই।
পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই
করে শয়তানের
পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক
শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে,
(দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই
দুর্বল।(সুরা নিসা-৭৬)
জিহাদ নিয়ে ইসলামিক উক্তি
তুমি কি সেসব লোককে দেখনি,
যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে,
তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ,
নামায কায়েম কর এবং যাকাত
দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের
প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল,
তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক
মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন
করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার
চেয়েও অধিক ভয়।আর বলতে লাগল, হায়
পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ
করলে!আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল
অবকাশ দান করলে না।(হে রসূল)
তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব
ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত
পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের
অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব
করা হবে না। (সুরা নিসা-৭৭)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
বিপক্ষে সংগ্রাম
করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে
সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই
যে,তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে
চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ
বিপরীত দিক
থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ
থেকে বহিষ্কার করা হবে।এটি হল তাদের
জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের
জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
(সূরা মায়েদাহ-৩৩)
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর,তাঁর নৈকট্য
অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর
যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(সূরা মায়েদাহ-৩৫)
যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর
সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ
থাকে আর
এগুলো বিনিময়ে দিয়ে কিয়ামতের
শাস্তি থেকে পরিত্রান পেতে চায়, তবুও
তাদের কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না।
তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি রয়েছে। (সূরা মায়েদাহ-৩৬)
জিহাদ নিয়ে ধর্মীয় উক্তি
হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না,
যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়;
যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ
তাদের অন্তর মুসলমান নয় এরা এমনিই যে,
আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান
না। তাদের
জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং
পরকালে বিরাট শাস্তি।
(সূরা মায়েদাহ-৪১)
তারা কি জাহেলী আইন ও শাসন চায়?
বিশ্বাসী কওমের জন্য আল্লাহর আইন ও
শাসনের চেয়েকার আইন ও শাসন উত্তম
হতে পারে, (আল- মায়েদাহ: ৫০)
অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায়
সৃষ্টি করবেন,
যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন
এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে।
তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র
হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে।
তারা আল্লাহর পথে জেহাদ
করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর
তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর
অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন।
আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
(সূরা মায়েদাহ-৫৪)
হে মুমিনগণ, যারা তোমাদের
ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে,
তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু
রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর,
যদি তোমরা ঈমানদার হও।
(সূরা মায়েদাহ-৫৭)
যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের
প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস
স্থাপন করত,
তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত
না।কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার।
(সূরা মায়েদাহ-৮১)
তাদের কেউ কেউ আপনার দিকে কান
লাগিয়ে থাকে।আমি তাদের অন্তরের উপর
আবরণ
রেখে দিয়েছি যাতে একে না বুঝে এবং
তাদের কানে বোঝা ভরে দিয়েছি।
যদি তারা সব নিদর্শন অবলোকন করে তবুও
সেগুলো বিশ্বাস করবে না। এমনকি,
তারা যখন আপনার
কাছে ঝগড়া করতে আসে, তখন
কাফেররা বলেঃ এটি পুর্ববর্তীদের
কিচ্ছাকাহিনী বৈ তো নয়।
(সুরা আনাম-২৫)
তারা এ থেকে বাধা প্রদান করে এবং এ
থেকে পলায়ন করে।
তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করেছে, কিন্তু
বুঝছে না। (সুরা আনাম-২৬)
আর তুমি যদি দুনিয়ার বেশিরভাগ
মানুষকে অনুসরণকর
তবে তারা তোমাকে আল্লাহের পথ
থেকে বিচ্যুত করবে।তারা তো শুধু অসার
বিষয়ের অনুসরণ করে,আর তারা তো শুধু
আন্দাজের উপরেই চলে ।” [ সুরা আনাম ১১৬ ]
হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত
করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের
মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে,
তবে জয়ী হবে দুশর মোকবেলায়। আর
যদি তোমাএদের মধ্যে থাকে একশ লোক,
তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর
থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। ”(সূরা আনফাল-৬৫)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্
অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ
দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন
তখন আর ছাড়েন না। আবু
মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ
করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের
পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন
বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর
পাকড়াও অতি কঠোর
যন্ত্রণাদায়ক।” (সুরাঃ হুদ, আয়াত ১০২)
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন
বিষয়ে ফায়সালা করলে কোন মু’মিন পুরুষ
কিংবা মু’মিন নারীর নিজেদের কোন
ব্যাপারে অন্য কোন সিদ্ধান্তের ইখতিয়ার
থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই
পথভ্রষ্ট হবে।”(সূরা আহযাব ৩৬)
তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের
অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য
অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব
তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে তাদের
ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার
আছে? আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত
পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর
তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে-
বিষয়ে অজ্ঞাত নন। (সূরা বাকারাহ: ৮৫)
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ
তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়।
পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন
একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের
জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন
একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয়
অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।
বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
(সূরা বাকারাঃ২১৬)
যারা নিশ্চিত ছিল যে তারা অবশ্যই
আল্লাহ্র সাথে মিলিত হবে, তারা বললো,
“কতবার ছোট দল আল্লাহ্র হুকুমে বড়
দলকে পরাজিত করেছে, আর আল্লাহ্
অধ্যবসায়ীদের সাথে আছেন।” [সুরা আল-
বাকারাহ ২৪৯]
*যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য
কিছুকে দ্বীন হিসাবে তালাশ করবে, তার
নিকট থেকে তা কবুল করা হবেনা। আর
আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত
হবে।(সূরা আল ইমরান:-৮৫)
*তোমাদের কোন ভয়নেই, তোমাদের কোন
চিন্তানেই, তোমরাই হবে বিজয়ী,
তোমরাই থাকবে উচ্চাসনে,
যদি তোমরা মুমিন হও। ( সূরা আল ইমরান- ১৩৯)
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক
অনুসরণ করো না।যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক
অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান
নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।
যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের
প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ
কখনও পবিত্র হতে পারতে না।কিন্তু
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন।আল্লাহ
সবকিছু শোনেন, জানেন।(সূরা নূরঃ২১)
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের
জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল
দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।
সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের
জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল
সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।তাদের
সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার
সাথে তারা সম্পর্কহীন।তাদের
জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
(সূরা নূরঃ২৬)
“হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য।
সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন
তোমাদেরকে প্রতারণা না করে।
এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই
তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত
না করে।” (সূরা ফাতির -০৫)
“তোমাদের মধ্যে যদি কেউ আল্লাহ
তায়ালা এবং তাঁর রসূলকে অমান্য করে,
তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন,
সেখানে তারা চিরকাল
থাকবে।” (সূরা জ্বিন ২৩)
“রাসূল তোমাদের যা কিছু দেয়
তা তোমরা গ্রহণ করো এবং সে যা কিছু
নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো,
আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করো; অবশ্যই
আল্লাহ তায়ালা কঠোর
শাস্তিদাতা।” (হাশর ৭)
আমার রাসূল ও বান্দাগণের
ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে,
অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। আর
আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (সূরা আস-
সাফফাত,১৭১-১৭৩)
মূলত উপরোক্ত সমস্ত উক্তিগুলোই হলো জিহাদ সম্পর্কিত এবং এখানে উল্লেখ করা সবগুলো বাক্য বা আয়াত নেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআন থেকে। আশা করি যারা যারা জিহাদ নিয়ে উক্তি জানতে চেয়েছে এবং জিহাদ কি সহ ইত্যাদি রকম প্রশ্ন রয়েছে, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে সবগুলোর উত্তর পেয়ে গেছেন।
জিহাদ নিয়ে উক্তি সম্পর্কিত শেষ কথা
ইসলামে জিহাদ হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ এবং বেঁচে থাকতে প্রতিটি মানুষেরই জিহাদ করতে হয়। আর যারা যারা জিহাদ এর প্রকৃত অর্থ কে বিকৃত করে নানা রকম অযথা শব্দ অ্যাড করে, তাঁরাই জিহাদকে ভিন্ন রূপে মিডিয়ায় প্রকাশ করে।
আশা করি যে সকল পাঠকগণ জিহাদ নিয়ে উক্তিগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে জিহাদ সম্পর্কে বেশ ভালো একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। সর্বপরি বলা চলে যে, জিহাদ নিয়ে উক্তি সহ আনুসাঙ্গিক অন্য সকল তথ্য জানতে পেরে পাঠকগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারবে।
জিহাদ নিয়ে উক্তি সম্পর্কিত প্রশ্ন-উত্তর
জিহাদ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ?
মূলত জিহাদ শব্দটি হলো আরবি শব্দ এবং এর বাংলা অর্থ হলো চেষ্টা করা, লেগে থাকা সহ ইত্যাদি।
জিহাদ নিয়ে উক্তিগুলো কোথায় থেকে নেওয়া?
জিহাদ নিয়ে উল্লেখ করা সকল উক্তিগুলো পবিত্র কোরআন থেকে নেওয়া।
আমি ইকরামুল হক। শুধু মাত্র নিজের প্যাশনেট থেকে ব্লগিং করছি। চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং সেই সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তারই ধারাবাহিকতায়, প্রতিনিয়ত আমার লিখনী প্রকাশ করছি Socialalo তে।