খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল

ঢাকা খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল কোথায় আছে, কিভাবে ভাড়া নিতে হয়, হোটেল কর্তৃপক্ষের রিকয়ারমেন্ট সহ এরকম অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় একজন সদ্য-ভ্রমণকারীর। দেশের নানা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদেরকে প্রয়োজনবোধে খিলক্ষেত আসতে হয়। আর প্রয়োজনের তাগিদে ১-২ দিন থাকাও লাগে। যে বিধায় রাত্রি যাপন এবং বিশ্রামের ক্ষেত্রে একটি কমন সমস্যার সম্মুখীন প্রায় সবাইকেই হতে হয়। কেউ তার পরিচিত ব্যক্তিদের বাসায় রাত্রি যাপন করে। আবার কাউকে বাধ্য হয়ে আবাসিক হোটেলে থাকতে হয়। কিন্তু যারা ঢাকার খিলক্ষেতে নতুন, তাদের জন্য ভালো একটি আবাসিক হোটেল খুঁজে বের করা বেশ প্যারাদায়ক একটি ব্যাপার।

যাইহোক, আপনার লোকেশন অনুযায়ী খিলক্ষেতে কোন আবাসিক হোটেলটি ভালো এবং আপনার জন্য দামেও সাশ্রয়ী হবে, এই নিয়ে আজকের আর্টিকেলে পরিপূর্ণ একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার পর আশা করি এরপর খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল নিয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। চলুন তাহলে ডিটেইলস সহ জানা যাক।

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেলের তালিকা ও লোকেশন

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেলের তালিকা ও লোকেশন

প্রয়োজনবোধে একেকজন একেক জায়গায় অবস্থান করে থাকে। যে বিধায় নিম্নে আমি লোকেশন নাম সহ খিলক্ষেতে থাকা কিছু ভালো ও সাশ্রয়ী আবাসিক হোটেলের তালিকা নিম্নে তুলে ধরেছি-

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল এর নামমোবাইল নাম্বার/যোগাযোগ
লো মেরিডিয়ান ঢাকা৭৯/ বাণিজ্যিক এলাকাএয়ারপোর্ট রোডনিকুঞ্জখিলক্ষেতঢাকা১২২৯।
Hotel White Stone01701522109
Best Western PLUS Maya01755562590
Hotel Fountain01319407385

উপরের যে আবাসিক হোটেলগুলো নাম ও মোবাইল নাম্বার উল্লেক করেছি, সবগুলো আবাসাকি হোটেল খিলক্ষেতের মধ্যে অবস্থিত। আপনারা যারা যারা কিছুটা ভালো ও কোয়ালিটিপূর্ণ আবাসিক হোটেল খুঁজে থাকেন, তাদের জন্য উপরোক্ত হোটেলগুলো বেস্ট চয়েজ হবে।

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল সম্পর্কিত নির্দেশনা

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল সম্পর্কিত নির্দেশনা

দেখুন, ঢাকায় আপনি নতুন অথবা পুরান কিংবা ঢাকার অন্য প্রান্ত হতে আপনি এখানে এসেছেন প্রয়োজনের তাগিদে, আর এখানে এসে অবশ্যই চাইবেন না আপনি কোনো বিপদে পড়েন। লোকলি খুঁজ নিলে আপনি অনেক কম বাজেটের মধ্যে খেলক্ষেতে আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন। যেখানে অনেকখানি রিস্ক থেকে যায়।

একটা কথা আছে, ‘ঢাকা নতুনদের জন্য না’। এই কথার অনেক মিনিং আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটা মিনিং হলো ঢাকায় আপনাকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় লোক/প্রতারক বসে আছে। ওরা রেডি আপনার সাথে প্রতারণা করার জন্য। যে বিধায় আপনার নিজেকে আরোও সতর্ক ও চৌকস হতে হবে। সামান্য কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য লোকালি কোনো হোটেলে না উঠায় বেস্ট।

এরপরও যদি আপনার কোনো আত্মীয় কিংবা পরিচিত খিলক্ষেতের কোনো লোকাল হোটেল সাজেস্ট করে, তাহলে অবশ্যই থাকতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে আরো সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় আপনার অর্থ-সম্পদ লুট হওয়ার সম্ভাবণা সর্বোচ্চ থাকে।

খিলক্ষেতের কোনো হোটেলে যদি আপনি কোনো বিপদের সম্মুখীন হোন, তাহলে অবশ্যই যতদ্রুত সম্ভব, ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে জরুরি সহায়তা চাইবেন। এভাবে আশা করি আপনি খিলক্ষেতের যেকোনো আবাসিক হোটেলে আপনি কিছুটা হলেও নিরাপদে থাকতে পারবেন।

খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল নিয়ে শেষ কথা

আর্টিকেলের শেষে এসে বলতে চাই যে, আপনি বাংলাদেশের যেকোনো আবাসিক হোটেলেই থাকেন না কেন, আপনার নিজ থেকেই আপনাদেরকে সতর্ক হতে হবে। কেননা, বর্তমানে অনেক নামীদামী আবাসিক হোটেলগুলো তাদের কাস্টমারদের জন্য বিরাট পাদ পেতে রাখে। যাতে করে বেশি অর্থ নেওয়া যায়।

যাইহোক, খিলক্ষেতে কোনো হোটেল ভাড়া করার পূর্বে অবশ্যই হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে ডিটেইলস কথা বলে নিবেন। অর্থাৎ, হোটেলে কতক্ষণ থাকবেন, সেটা নির্দিষ্টভাবে বলে নিবেন। পাশাপাশি হোটেলের সার্ভিস সমূহ ও জেনে নিবেন। এবং সেই সার্ভিসের জন্য কোনো চার্জ প্রযোজ্য কি-না, তাও জেনে নিবেন। সর্বপরি, আপনার নির্দিষ্ট টাইমে টোটাল কত টাকা বিল আসবে, সেটা অবশ্যই আগে থেকেই হিসাব করে নিবেন। আর যদি তা পরোক্ষণে করতে যান, তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়ার সম্ভাবণা থেকে যায়। তাই অবশ্যই যেকোনো আবাসিক হোটেলে উঠার পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। আশা করি খিলক্ষেত আবাসিক হোটেল নিয়ে আপনাদের মনে আর কোনো প্রশ্ন নেই। তারপরও যদি কোনো ধরনের প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা থাকে, তাহলে দয়া করেন নিম্নে কমেন্ট করুন। খুব দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Leave a Comment